আমেরিকার বিচার বিভাগকে চ্যালেঞ্জ জানালেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। মার্কিন আদালত তার দেশের বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। শনিবার তুরস্কের এক ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আমেরিকার আদালতে চলমান মামলার প্রসঙ্গ উঠলে এ কথা বলেন তিনি। খবর রয়টার্সের।
সম্প্রতি আমেরিকার আদালতে বিচারাধীন তুর্কি বংশোদ্ভূত ইরানি স্বর্ণ ব্যবসায়ী রেজা জারাবের জবানবন্দি নেয়া হয়। ইরানে মার্কিন অবরোধ এড়িয়ে দেশটির সঙ্গে একটি স্কিমে তুরস্কের অংশ নেয়া নিয়ে তার কাছে তথ্য নিচ্ছেন আমেরিকার প্রসিকিউটররা।
তিন দিনেরও বেশি সময় ধরে গ্রহণ করা জবানবন্দিতে জারাব দাবি করেছেন, এরদোগানসহ তুরস্কের শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদরা এ স্কিমে জড়িত ছিলেন। এরদোগান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ব্যক্তিগতভাবে দুটি তুর্কি ব্যাংককে ওই ইরানি স্কিমে যোগ দেয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, জারাব যেসব মন্ত্রীর কথা বলেছেন তাদের সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা যায়নি।
রেজা জারাবের জবানবন্দিতে উঠে আসা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এরদোগান। প্রায় ১৫ বছর ধরে তুরস্কের শাসন ক্ষমতায় থাকা এরদোগান শনিবার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ কারস এ তার দল একে পার্টির সদস্যদের বলেন, আমেরিকার আদালত আমার দেশের বিরুদ্ধে কখনও কিছু করতে পারবে না। এর আগে শুক্রবার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলুকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
আঙ্কারার দাবি, তুরস্কের ভাবমূর্তি ও অর্থনৈতিক অবস্থা ক্ষুণ্ণ করতেই এ জবানবন্দি প্রচার করা হয়েছে। এর আগে দেশটি দাবি করেছিল, আমেরিকায় নির্বাসিত ইরানি নাগরিক ফেতুল্লাহ গুলেনের লোকেদের পরিকল্পনা এটি।
গত বছর তুরস্কের অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার জন্য এ গুলেনকেই দায়ী করে থাকে এরদোগান সরকার। গুলেনকে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য বার বারই আমেরিকাকে অনুরোধ করে আসছে তুরস্ক। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, ধর্মীয় চিন্তাবিদ গুলেনকে দেশে ফেরত পাঠানোর আগে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের যথেষ্ট প্রমাণ তুরস্ককে হাজির করতে হবে।
No comments:
Post a Comment