Social Icons

Saturday, December 5, 2015

বাংলাদেশে বেশিরভাগ এসিড হামলার বিচার হয় না

বাংলাদেশে শত শত এসিড হামলার ঘটনায় ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই হামলাকারীদের কোন সাজা হয়নি।
বাংলাদেশ এসিড সারভাইভার্স ফাউন্ডেশেনের কাছ থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। মূলত এসিড হামলার শিকার মানুষদের নিয়ে কাজ করে এই প্রতিষ্ঠান।
এসিড সারভাইভার্স ফাউন্ডেশন বলছে, বাংলাদেশে এসিড হামলার ঘটনা কমে এসেছে। কিন্তু এসব হামলার সঙ্গে জড়িতরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পার পেয়ে যাচ্ছে। মাত্র ২৫ শতাংশ মামলায় অভিযুক্তদের সাজা হয়েছে।
বাংলাদেশে ২০০২ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত এসিড আক্রমন সংক্রান্ত ২০১৯ টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় অভিযুক্তের সংখ্যা ছিল পাঁচ হাজারের বেশি। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ১২ শতাংশ মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। বাকি ৮৮ শতাংশ অভিযুক্ত পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
এসিড সারভাইভার্স ফাউন্ডেশেন জানায়, রায় হয়ে গেছে এমন মামলায় ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই অভিযুক্ত খালাস পেয়েছে।
গাইবান্ধার জেলার রাধা রানী নামে এসিড সন্ত্রাসের শিকার একজন বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে তাকে মামলা চালাতে হয়েছে। এই মামলার সাক্ষীদের আদালতে নিতে হয়েছে নিজ খরচে।
এসিড সারভারস ফাউন্ডেশনের নির্বাহি পরিচালক সেলিনা আহমেদ বলছেন, নিরাপত্তার অভাবে প্রায় ক্ষেত্রেই সাক্ষীরা পিছিয়ে যান। তিনি আরো বলছেন, এসিড অপরাধ দমন আইন ২০০২ অনুযায়ী নব্বু্‌ই কার্যদিবসের মধ্যে এই সংক্রান্ত মামলার বিচার কাজ শেষ করতে বলা হলেও তা কখনোই হয় না। রাধা রানীর মামলার রায় হতে ৮ বছর লেগেছে।
মনোয়ার বেগম নামে আর একজন বলছিলেন, তার মামলার কাজ ৮ বছরেও শেষ হয়নি। মুহুরি থেকে পেশকার সবাইকে মামলার কাজ এগুনোর জন্য টাকা দিতে হয়। এছাড়া মামলার আসামীদের হুমকি এবং হামলা থেকে রক্ষায় তাদের কোন নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে না।
রাধা রানী বলছেন, রাষ্ট্র কর্তৃক নিযুক্ত সরকারি কৌসুলীর বিনে পয়সায় আইনি সেবা দেয়ার কথা থাকলেও তাকে প্রতিবার দু-তিন হাজার করে টাকা দিতে হয়েছে। টাকা না দিলে কোনো কাজ হয় না।
সরকারি কৌসুলী ও পুলিশের পক্ষ থেকে সহানুভুতির খুবই অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ করছেন এসিড সন্ত্রাসের শিকার ব্যক্তিরা।
অর্থের অভাবে দীর্ঘ দিন ধরে মামলা চালাতে ব্যর্থ হচ্ছেন অনেকে। অভিযুক্ত ও স্থানিয় প্রভাবশালীরা প্রায়ই তাদের মামলা চালানোর বদলে আপোষ করে টাকা নেয়ার পরামর্শ দেন। অনেকে তা করতে বাধ্যও হয়েছেন। এসিড অপরাধ দমন আইন ২০০২ এর ধারা অনুযায়ী মামলায় যে অর্থদন্ড করা হবে তা এসিড ভিক্টিমদের পাওয়ার কথা কিন্তু প্রায় ক্ষেত্রেই তারা তা পাননা।

No comments:

Post a Comment

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates